শিরোনাম
Passenger Voice | ০৮:৩৪ এএম, ২০২১-০৫-১২
বাহন যাই হোক না কেন, ঈদে বাড়ি ফিরতেই হবে। বছরে দুইবার ঈদে ছুটি পাই, ঈদ ছাড়া পরিবারের মানুষগুলোর মুখ দেখতে পারি না।
গতবছর করোনার কারণে ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। কিন্তু এবার বাড়ি যেতেই হবে।
যে কোনো উপায়েই হোক।
মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে বাইপাইল এলাকায় ট্রাকের ওপর থেকে কথাগুলো বলছিলেন শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ইউরো আর্থ অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিক মাসুদ।
মাসুদ যাবেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায়। কারখানা গতকাল বন্ধ দিয়েছে।
দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ, তাই পরিবারের সঙ্গে এবার ঈদ করতে ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছেন তিনি। তাদের ট্রাকে তার মতো আরও ২৬ জন নারী-পুরুষ ছিলেন৷ যারা বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে যাবেন।
মাসুদ বলেন, অনেকদিন হলো বাড়ি যাই না। এর আগের ঈদেও করোনার কারণে গাড়ি বন্ধ করে দেওয়ায় বাড়ি যাইনি। এবার করোনার কারণে গাড়ি বন্ধ। কিন্তু এবার বাড়ি যেতেই হবে৷ কাল রাতেই যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনো গাড়ি পাইনি দেখে যাইনি। আজ দুপুরের দিকে একটা ট্রাক পেলাম, ১৫০০ টাকা নেবে বগুড়া পর্যন্ত৷ তাতেই যাচ্ছি।
ট্রাকে থাকা আরেক শ্রমিক রোকেয়া বলেন, আমি করোনা, টরোনা বুঝি না। বছরে দুইবার ঈদ আসে, এ ঈদে বাড়ি যেতেই হবে। আমরা গরিব মানুষ ভাই, করোনা ধরবো না। আমাগো কারখানা ছুটি দেবে তিনদিন, কিন্তু আমরা আন্দোলন করে চারদিন বাড়ায়া সাতদিন করায় নিছি৷
জানা গেছে, আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলো মঙ্গলবার বন্ধ দিতে শুরু করেছে। তাই শ্রমিকরা যে কোনো উপায়ে বাড়ি যাচ্ছেন। সোমবার (১০ মে) রাত থেকে সড়ক-মহাসড়কে গাড়ির অনেক চাপ পড়েছে।
আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদে ঘরমুখো মানুষ যে কোনো পরিবহন দিয়ে ছুটছেন। পরিবহন না পেলে হেঁটে যাচ্ছেন। এছাড়া সড়কে শত শত মানুষবাহী ট্রাক দেখা যাচ্ছে। আর গাড়ির চাপে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.